লালবাগ কেল্লার ইতিহাস:
লালবাগ কেল্লা, যা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত, মুঘল আমলের একটি ঐতিহাসিক দুর্গ। এটি ১৭শ শতকের শেষের দিকে মুঘল শাসক শাহজাদা মোহাম্মদ আজম দ্বারা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। আজম শাহ, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র, ১৬৭৮ সালে ঢাকার সুবাহদার নিযুক্ত হন এবং তিনি ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এই কেল্লার নির্মাণ শুরু করেন। তবে, ১৬৭৯ সালে আজম শাহকে দিল্লি ফিরিয়ে নেওয়া হয় এবং তার পরিবর্তে নবাব শায়েস্তা খান ঢাকায় আসেন। তার আমলে কাজটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় থেকে যায়।
এই কেল্লা মূলত একটি বুরুজবিশিষ্ট দুর্গ হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। এর অভ্যন্তরে রয়েছে তিনটি প্রধান স্থাপত্যিক অবদান: দরবার হল বা হলওয়ে, শাহী মসজিদ এবং ত্বরশি ভবন। ত্বরশি ভবন একটি সমাধি, যেখানে শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবি সমাহিত রয়েছেন। পরবর্তীতে, এই দুর্গটি অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় থাকার পরও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে পরিণত হয়েছে।
লালবাগ কেল্লা ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য:
স্থান: লালবাগ, পুরান ঢাকা,
খোলার সময়: সোম থেকে শনি: সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা (শীতকাল), সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা (গ্রীষ্মকাল) শুক্রবার: বিকাল ২টা ৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭টা
প্রবেশ মূল্য: বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য: ২০ টাকা বিদেশি নাগরিকদের জন্য: ১০০ টাকা
কিভাবে যাবেন? ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে রিকশা, সিএনজি বা প্রাইভেট গাড়ি ব্যবহার করে লালবাগ কেল্লায় পৌঁছানো যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের খুব কাছাকাছি হওয়ায় এখান থেকে যাওয়া সহজ।
ভ্রমণ টিপস:
- কেল্লার ভেতরের স্থাপত্য এবং পুরনো নিদর্শনগুলো দেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় নিন।
- ক্যামেরা নিয়ে যেতে ভুলবেন না; কেল্লার ভেতরের সুন্দর স্থাপত্য ছবি তোলার জন্য আদর্শ।
- কেল্লার আশেপাশে পুরান ঢাকার অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনাও দেখে নেওয়া যেতে পারে, যেমন আহসান মঞ্জিল, হোসেনি দালান প্রভৃতি।
- কেল্লা পরিদর্শনের আগে এর ইতিহাস সম্পর্কে সামান্য পড়াশোনা করে যাওয়া ভাল, যাতে পরিদর্শন আরও অর্থবহ হয়।
![](https://bdtravelblog.com/wp-content/uploads/2024/08/lalbagh2.jpg)